"Isis হুঙ্কারে প্রকম্পিত ইরাক-ভূমি,খেলাফতের হাতছানি"

লিখেছেন লিখেছেন আহমাদ গনি ১৭ জুন, ২০১৪, ০৬:০০:৩১ সন্ধ্যা

সাম্রাজ্যবাদী ইহুদি-খৃষ্টান ও তাদের পা চাটা তল্পিবাহক শাসকগোষ্টী শিয়াদের কতৃত্বমুক্ত হতে চলেছে এক সময়ের জ্ঞান-চর্চার উর্বরভূমি ইরাক ভূখন্ড। বড় বড় শহরগুলোকে পদানত করে Isis এখন বগদাদ অভিমুখে। ইসলামি পতাকা উড্ডীন করার মানসে ক্রমাগ্রসরমান এই বাহিনী যৌথ বাহিনীর বিরোদ্ধে হার না মানা প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছে। যে সব অঞ্চল তারা সরকারের কতৃত্বমুক্ত করেছেন,সেখানে তারা জনগণের সামনে ইসলামি খেলাফতের রূপরেখা তুলে ধরছেন।ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্টার নিমিত্তে দখলকৃত শহরগুলোতে তাদের প্রদত্ত দাবিগুলো নিম্নরূপ:

1. আপনারা এতদিন সেকুলারিজমের শিক্ষা নিয়ে আসছেন যা আপনাদেরকে শুধু দুঃখই দিয়েছে, শান্তি প্রতিষ্টার লক্ষে ইসলামি খেলাফতের বিকল্প নেই।

2.আমাদের সম্পর্কে আপনাদের অন্তরে উকি দেওয়া প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, আমরা ইসলামের সৈনিক, এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থা কার্যকরের লক্ষেই কোমর বেধে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছি।

3.নূরি আল মালিকীর যে সব সম্পদ আমরা ছিনিয়ে নিয়েছি, তা এখন জনগণের সম্পদ।একমাত্র ইসলামি প্রজাতন্ত্রের খলিফাই তা বণ্টন করতে পারবেন।

4. সমস্ত মুসলমান মসজিদে জামাত সহকারে নামাজ আদায় করবে।

5.গোত্রীয় প্রধানদের জন্য আমাদের সতর্কবার্তা হচ্ছে, তারা যেন সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে গাদ্দারির আশ্রয় না নেয়।

6.বিড়ি-সিগরেট থেকে শুরু করে সব ধরণের মাদক জাতীয় দ্রব্য সেবন ও লেনদেন নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো।

7. পুলিশ ও সরকারি আমলাদেরকে তাদের কৃতকর্মের ভুল শিকার করে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হলো, প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হবে।

8.ইসলামি খেলাফতের ঝান্ডা সবখানে সর্বদা উড্ডিন থাকবে।

9.মাজারের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার,আর তা হলো, সবগুলো ভেঙ্গে সমান্তরাল করে দেওয়া হবে।

10.মেয়েরা টাইট-ফিট কাপড় পরিধান থেকে বিরত থাকবে, সাধারণ ও ঢিলেঢাল কাপড় পরিধান করবে। প্রয়োজন ব্যাতীত ঘরের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকবে।

হে আল্লাহ! আপনি তাদের উদ্দেশ্যকে সফল করুন।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৭ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

235852
১৭ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৮
জীবন রাহমান লিখেছেন : কত দিন টিকতে পারে কে যানে.......?
235872
১৭ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০১
আহমদ মুসা লিখেছেন : আপনার পোস্টে যদি কেউ মন্তব্য করে এবং তার উত্তর দিয়ে সৌজন্যতা দেখাতে ব্যর্থ হন তবে পরবর্তীতে হয়তো তিনি মন্তব্য করতে আগ্রহী হবে না।
১৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২২
182410
চক্রবাক লিখেছেন : একমত Good Luck
235911
১৭ জুন ২০১৪ রাত ০৮:২২
চক্রবাক লিখেছেন : ইতিহাস সম্পর্কে জেনে কথা বলার জন্য আহবান করছি, বিশ্বজুড়ে একমাত্র শিয়ারাই সম্রাজ্যবাদি শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, বাকিরা পাচাটা গোলাম। ইরাকের পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে ভালো করে গবেষণা করুন তার পর এক গোষ্ঠীকে দায়ী করে পোস্ট দিবেন। এই আপনাদের জন্যই শিয়া সুন্নিদের মধ্যে কনফ্লিক্ট বাঁধে। আর আপনি যে শিয়াদের ইহুদী খ্রিস্টানের পা চাটা গোলাম বললেন তার সম্পর্কে কিছু রেফারেন্স আশা করছি। অন্তত ভদ্রতার খাতিরেও উত্তর আশা করছি।

বি দ্রঃ- হক কথা বলার কারণে আমাকে হয়তো শিয়া ট্যাগ খেতে হবে, তাই আগেই বলছি আই এম মুসলিম নট শিয়া অর সুন্নি(জন্ম নিয়েছিলাম সুন্নি হয়ে)। আর যারা এই বিতর্ক টপকে মুসলিম হতে পারবে তারাই মুক্তিকামী।
235963
১৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:০০
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : মেয়েরা বের হতে পারবেনা কেন?
১৮ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:৩৯
182620
আল সাঈদ লিখেছেন : কারণ ছেলেরা অলস হয়ে যাবে আর মেয়েদের উপর নির্ভরশীল হবে। যারা নিজের অক্ষমতার পরিচয় দেয় তারাই মেয়েদের কে বাহিরে পাঠায়।
১৮ জুন ২০১৪ রাত ০৯:০৯
182853
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ভুল কথা।
235967
১৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:১৫
আহমাদ গনি লিখেছেন : পরীক্ষার ব্যস্ততার কারণে যথা সময়ে আপনাদের মন্তব্যগুলোর উত্তর দিতে পারছিনা বিধায় আমি দুঃখিত। মন্তব্য করার জন্য আপনাদরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@আবু মূসা
235980
১৭ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪১
আহমাদ গনি লিখেছেন : ইসলামের ইতিহাস পড়ে থাকলে শিয়ারা কি "চিজ" তা বোঝানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের নামে যারা ইসলাম নির্মূলে ব্যস্ত তাদেরকে ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত। 2000 সালে থেকে শুরু করে আজ অবধি আমেরিকা ও তার মিত্র বাহিনীরা ইসলামী কান্ট্রীগুলোর উপর যে নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে তা রোধে ইরানের কি ভূমিকা ছিল একটু বলবেন কি? আর ফেরকাবাজির কথা বলছেন, তাহলে শুনুন, পৃথিবীতে শিয়াদের মতো ফেরকাবাজ দ্বিতীয় কোন দল নেই। হ্যা! তারা কিভাবে ইহুদিদের সাথে আতাঁতকারী তা অন্য কোনদিন নতুন পোস্টের মাধ্যমে রেফারেন্স সহকারে প্রমাণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।@ চক্রবাক
১৮ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
182749
চক্রবাক লিখেছেন : একটা কথা মনে রাখবেন, ইতিহাস সবসময় বিজয়ী/ক্ষমতাসীনরা রচনা করেন। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন ইতিহাসটা বাঙ্গালিদের মত করে লেখা কিন্তু এর কাউন্টার কিছু ইতিহাসও আছে এখন আমরা কোনটাকে সত্য বলে ধরে নেব ? যেখানে জিন্নাহ আমাদের কাছে একজন ঘাতক/হত্যাকারী সেখানে পাকিস্থানিদের কাছে সে কায়েদে আজম তাদের মধ্যমণি। এখন আমরা কোনটাকে ধরে নেব ? তারপর দেখুন আমরা যে ইসলামের ইতিহাসগুলো পড়ি সেগুলো কে রচনা করেছে, অবশ্যই সুন্নিরা তো তাদের কাছে তো আর আপনি শিয়াদের উতলে পড়া প্রেম কাহিনী শুনতে পাবেন না, পাবেন শুধু গঞ্ছনা আর বঞ্চনা, তাদের বিরোধী ইতিহাস। তাই বলছি ইতিহাসের প্রতি যদি এতই ঈমান রাখেন তাহলে আপনাকে পড়তে হবে এমন কিছু ইতিহাস যেগুলো আপনাকে প্রশ্ন করার যায়গা দেবে আপনার মতামত নেবে। আপনাকে দুই পক্ষের ইতিহাস পড়ে বিচার বিশ্লেষণ করে রেশনালিটির উপর দৃষ্টি দিতে হবে তাহলে সত্য পাবেন। এক পাক্ষিক ইতিহাসের প্রতি ঈমান পরিত্যাগ করুন। আপনি শিয়াদের ইহুদিদের এজেন্ডা বলছেন আর তারাই প্রতিনিয়ত ইসরাইলিদের হাত থেকে ফিলিস্থিনিদের রক্ষা করার জন্য অর্থ ঢালছেন হিজবুল্লাদের দিয়ে লড়াই করাচ্ছেন। জাতিসঙ্ঘে গিয়ে ইহুদিদের বিরোধিতা করছেন। তারা বলেছে "মুসলিম জাতি যদি এক বালতি করে পানি ঢালেন তাহলে ইসরাইল তলিয়ে যাবে" বিশ্বব্যাপী ইরানই সম্রাজ্যবাদি শক্তির মুখোমুখি সব সময় দাঁড়িয়েছে সৌদিরমত আমেরিকার দালালরা দাড়ায়নি বরং মিসরে মুরসির পতনে তাদের ভূমিকা কথা না বললেই নয়। এফারেন্স সহ পোস্টের আশায় আছি। আশা করছি ভবিষ্যতে কারো বিপক্ষে কথা বললে রেফারেন্স দিয়ে বলবেন Crying
235993
১৭ জুন ২০১৪ রাত ১১:০২
আহমাদ গনি লিখেছেন : প্রয়োজন ব্যাতীত বের না হতে বলা হয়েছে। ইসলাম ঘরের বাইরে গিয়ে কষ্ট করার মতো কোন কাজ মেয়েদের জন্য রাখেনি। জন্ম থেকে মৃত্য পর্যন্ত তার যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব পুরুষের হাতেই ন্যস্ত করে করেছে। আর অবাধে বের হলে তার পরিণাম কি হয়, তা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে নারীদের কি অবস্থা তা থেকে সহজেই অনুমেয়। @লোকমান
১৮ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৫৫
182868
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : ইসলাম রাখেনি মানে? আপনি বললেই হল। পর্দা সহকারে ইসলাম ঘরের বাইরে মেয়েদের কাজ করতে বাধা দেয়না।

ভুল চালাবেননা ইসলামের নামে।
236549
১৯ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
আহমাদ গনি লিখেছেন : আমি কি লিখলাম আর আপনি কি বুঝলেন, বুঝে-শুনেই মন্তব্য বাটন ক্লিক করা বাঞ্চণীয়। আপনি লিখেছেন, "ইসলাম পর্দা সহকারে মেয়েদের বাইরে কাজ করতে বাধা দেয়না।" কিন্তু কাজটা করবে কি জন্য, প্রয়োজনেই পূরণের জন্যই তো। আর মেয়েদের সব ধরণের প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব পুরুষের কাধেই ন্যস্ত। যেমন বিয়ের আগ পর্যন্ত পিতার উপর, বিয়ের পর স্বামীর উপর, আর বৃদ্ধাবস্থায় স্বামী মারা গেলে, তখন তার সন্তানের উপর তার যাবতীয় দায়িত্ব অর্পিত হয়। এবার বলুন, তারাঁ কোন্‌ প্রয়োজনটির জন্য বাইরে যাবে? আশা করি, আর বিভ্রান্ত হবেন না। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। @লোকমান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File